এমন খেলা দেখলে হার্ট অ্যাটাকের ভয় থাকে : পাপন

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের শেষ ওভারের শেষ বলে থার্ড অ্যাম্পেয়ারের দেওয়া ‘নো বল’ মূলত নাটক জমিয়ে তুলেছিল। যে নাটকে আঁতকে উঠেছেন স্বয়ং বিসিবি সভাপতি। ব্রিসবেনে ম্যাচ শেষে নিজের আবেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন খেলতে থাকলে হার্ট অ্যাটাকের ভয় থাকে।’

বিসিবি প্রধান বলেন, ‘যেহেতু টুর্নামেন্ট চলছে, নির্দিষ্ট করে কিছু বলব না। খালি একটা কথাই বলব—এমন হলে কত দর্শকের যে হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে ঠিক নেই! এটা অতিরিক্ত। আমি আরেকটু হলে জ্ঞানই হারিয়ে ফেলতাম। এমন অবস্থা ছিল।’ শেষ তিন ওভারের সমালোচনা করে পাপন বলেন, ‘গত কয়েক ম্যাচ ধরে আমরা শেষ তিন ওভারে রান করতে পারছি না। অন্যদিকে শেষ তিন ওভাবে অনেক রান দিয়ে দিচ্ছি। এখানে আমাদের উন্নতি করতে হবে। ’

বাংলাদেশের লক্ষ্য আর একটি ম্যাচ জেতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, তিনটা ম্যাচ জিতলেই খুশি। পরবর্তী জয় ইন্ডিয়ার সঙ্গেও হতে পারে।’ আজ বাংলাদেশের দেওয়া ১৫১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ের ইনিংস থেমেছে ১৪৭ রানে। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ২৬ রান। হাতে ছিল ৫ উইকেট। ম্যাচ গড়ায় শেষ ওভারে। নাটকীয়তারও দেখা মেলে ওই বলে।

মোসাদ্দেক হোসেন বলটি ঠিকঠাকই করেছেন। ১০ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান ব্লেসিং মুজারাবানি এগিয়ে এসে মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটে বলই লাগাতে পারেননি। উইকেটকিপার নুরুল হাসান দ্রুত তাকে স্টাম্পিং করে দেন। সাথে সাথে জয়ের আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। কিন্তু নাটকের তখনো বাকি ছিল।

দ্রুত স্টাম্পিং করতে গিয়ে নুরুলের গ্লাভস আগেই ঢুকে গেছে পপিং ক্রিজের মধ্যে। তাই থার্ড আম্পায়ার ‘নো বল’ ডাকেন। কিন্তু ততক্ষণে ব্যাটাররা ড্রেসিংরুমে গিয়ে প্যাড খুলে ফেলেছেন! বাংলাদেশ দল উদযাপন করছে। এমন মুহূর্তে দুই আম্পায়ার আবার দুই দলকে ডেকে পাঠান। ১ বলে তখন দরকার ৪ রান। জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটার আবারও এসে ক্রিজে দাঁড়ান।

নো বলের কারণে শেষ বলটি এখন ‘ফ্রি হিট’। কিন্তু এবারও ব্যাটে বল লাগাতে পারেননি মুজারাবানি। ৩ রানে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। দীর্ঘ ১৫ বছরের অপেক্ষা শেষে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এই প্রথমবার তারা মূলপর্বে দুই ম্যাচ জিতল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *