তার গলার মিষ্টি সুর, মন কেড়েছে আট থেকে আশির। প্রায় তিন দশক ধরে সঙ্গীতের ময়দান যিনি দাপিয়ে শাসন করেছেন, সেই প্রতিভার নাম অলকা ইয়াগনিক। সেরা মহিলা প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে অগুনতি বার ফিল্মফেয়ার পুরষ্কারে সম্মানিত হয়েছেন আলকা। তাকে বলা হত ‘কুইন অফ প্লেব্যাক সিঙ্গিং’। বয়সের কারণে এখন খুব বেশি নতুন গানে তাকে পাওয়া যায় না। কিন্তু এমন সব গান সুরেলা কণ্ঠে উপহার দিয়েছেন তিনি, সেগুলোতে এখনও নিয়মিত বুঁদ হয়ে থাকে শ্রোতারা। আর তাই তো ৫৬ বছর বয়সী এই শিল্পী করলেন বিশ্বরেকর্ড।
সম্প্রতি গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসর প্রতিবেদন থেকে জানা গেল, ২০২২ সালের হিসাবে ইউটিউবে তার গানই সবচেয়ে বেশিবার বেজেছে। হিসেব অনুযায়ী ২০২২ সালে ইউটিউবে অলকা ইয়াগনিকের গান ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন বার বেজেছে! অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৪২ মিলিয়ন বার বেজেছে তার গান। এর ফলে গত বছরের (২০২২ সালের) ‘মোস্ত স্ট্রিমড অ্যাক্ট অন ইউটিউব’ খেতাবটি দেওয়া হয়েছে অলকাকে। গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রতিবেদনে অলকা ইয়াগনিকের সম্পর্কে বলা হয়েছে, “কুইন অব প্লেব্যাক সিংগিং’ খ্যাত এই শিল্পী বলিউডের সবচেয়ে আইকনিক কণ্ঠ।
তিনি ২০ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেছেন এবং তার ক্যারিয়ার চার দশকের বেশি সময় ধরে বিস্তৃত।” ২০২২ সালের পরিসংখ্যানে অলকা ইয়াগনিকের পরের অবস্থানে রয়েছেন পুয়ের্তো রিকোর শিল্পী ব্যাড বানি। তার গান স্ট্রিম হয়েছে ১৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বার। সেরা পাঁচের বাকি তিনজনও ভারতের। তারা হলেন উদিত নারায়ণ (১০ দশমিক ৮ বিলিয়ন), অরিজিৎ সিং (১০ দশমিক ৭ বিলিয়ন) ও কুমার শানু (৯ দশমিক ০৯ বিলিয়ন)। উল্লেখ্য, গত তিন বছর ধরেই ‘মোস্ত স্ট্রিমড অ্যাক্ট অন ইউটিউব’ রেকর্ড নিজের করে রেখেছেন অলকা ইয়াগনিক।
২০২০ সালে তার গান বেজেছিলো ১৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন বার। ২০২১ সালে সেটা ছিলো ১৭ বিলিয়ন! তার গাওয়া অসংখ্য কালজয়ী গান রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো- ‘রাব কারে তুঝকো ভি’, ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’, ‘গোরে গোরে মুখড়ে পে’, ‘কিসি ডিসকো মে’, ‘চান্দ ছুপা বাদাল মে’, ‘টিপ টিপ বারসা পানি’, ‘কাভি আলভিদা না কেহনা’, ‘লাল দুপাট্টা’, ‘মেরা দিল ভি কিতনা পাগাল হ্যায়’, ‘আগার তুম সাথ হো’ ইত্যাদি। সূত্র: ইনকিলাব