টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ফিরে পাবার পর মিরপুরে অনুশীলন করেছেন সাকিব আল হাসান। সকালে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ঘাম ঝরান টাইগার অলরাউন্ডার। দীর্ঘ বিরতির পর প্রথমদিন, তাই সেভাবে ভারী অনুশীলন কিংবা স্কিল ট্রেনিং করেননি তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত সাকিবের হাতেই থাকবে নেতৃত্বের গুরু দায়িত্ব।
সাকিব যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। কোনওভাবেই তার রহস্য উন্মোচন সম্ভব নয়। মাঠের বাইরে সাকিব হতে পারে আলোচিত, বিতর্কিত একটা নাম। তবে মাঠের এই সাকিব সবার সেরা বলেই, বিসিবি তাকে প্রশ্রয় দিতে বাধ্য হয়।
১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ভালভাবেই জানেন, সবার মুখ বন্ধ করার একটায় মাধ্যম, পারফর্ম করা। টেস্টের পর টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর, দেরি করেননি মিরপুরের সবুজ ঘাসে পা ফেলতে। টাইগারদের খারাপ সময় পেছনে ফেলতে এশিয়া কাপে সাকিবকে নেতৃত্ব দিতে হবে সামনে থেকে।
তিন ফরম্যাটে নিয়মিত ম্যাচ খেলেন না, ৩৬ এ পা-দেয়া সাকিব। সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ৭ জুলাই, উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। নিয়মিত বিরতি ফিটনেসে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ছুটি কাটিয়ে আসা সাকিবের অবস্থা দেখে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়।
ফিটনেসের কাজে কষ্ট হলেও হাল ছাড়েননি এ অলরাউন্ডার। রানিং শেষ করেছেন, হালকা জিম করেছেন। তবে প্রথম দিন ওয়ার্ক লোড নেননি, ব্যাটিং বোলিং শুরু করতে সময় নেবেন দু-একদিন।
নতুনভাবে দায়িত্বে ফেরার পর সাকিবের ওপর চাপটা বেশি। দল পারফর্ম করছে না, ফর্মে নেই তারকারা। ব্যাট হাতে তাইতো সাকিবকে হতে হবে ধারালো, যেমনটা অধিনায়কত্বের ২১ ম্যাচে। ১৩০ স্ট্রাইরেইটে তার রান ৪৫৪। আর বল হাতে ২৭ উইকেট নিয়েছেন সাড়ে ছয় ইকোনোমিতে।